Home

KRIYAYOGA KATHA

OUR MISSION

Many secrets of Kriyayoga revealed and written by Yogiraj Shyama Charan Lahiri will be focused on this site for who are practicing Kriyayoga.

গুরুর্ব্রহ্মা গুরুর্বিষ্ণুঃ গুরুর্দেবো মহেশ্বরঃ
গুরুরেব পরংব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ

 

মহাবতার বাবাজী মহারাজ

মহাবাতার বাবাজি মহারাজ

যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী

 

যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী

 

যোগাচার্য পঞ্চানন ভট্টাচার্য্য

 

যোগাচার্য পঞ্চানন ভট্টাচার্য্য

 

গুরুবর বামদেব বন্দ্যোপাধ্যায়

 

গুরুবর বামদেব বন্দ্যোপাধ্যায়
গুরুবর বামদেব বন্দ্যোপাধ্যায়

 

 

যোগীবর নিতাই চরণ বন্দোপাধ্যায়

 

যোগীবর নিত্যানন্দ বন্দোপাধ্যায়

এই পৃষ্ঠায় যে সমস্ত ক্রিয়াযোগী মহা গুরুদের ছবি দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রচার বিমুখ ও প্রচারের অন্তরালে ছিলেন গুরুবর নিতাই চরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আমরা তাঁর সম্পর্কে যতটুকু জানা আছে সেই বিষয় এখানে নিবদ্ধ করলাম।

যোগীবর নিতাই চরণ বন্দোপাধ্যায় ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দের ১৮ই জুন এক ভক্তিমান ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নেন। তার পিতার নাম ছিল যোগীবর বামদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যোগ গুরু পণ্ডিত পঞ্চানন ভট্টাচার্য্যের শিষ্য ছিলেন।

শিশুকাল থেকেই নিতাই চরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ধীর,স্থির, শান্ত সভ্বাব সম্পন্ন ছিলেন। তিনি বাঁকুড়ার ক্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ হন। তারপর তিনি পঞ্চানন বাবার পরামর্শে বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়েতে চাকরি করা শুরু করেন। তাকে ক্রিয়াযোগ দীক্ষা তার পিতা গুরুবর বামদেব বন্দ্যোপাধ্যায় দেন কিন্তু দীক্ষা কালে তিনি তার পিতার মধ্যে পঞ্চানন বাবাকে দর্শন করাতে পরবর্তীকালে তিনি পঞ্চানন বাবাকেই গুরু ব’লে গ্রহন করেন।

প্রায়শই পঞ্চানন ভট্টাচার্য মহাশয় তার অন্যান্য শিষ্যদের কাছে নিতাই বাবার উদাহরণ দিতেন। পরবর্তীকালে নিতাই বাবা তার পিতার কাছ থেকে অনুমতি পেয়ে অনেক মানুষকেই ক্রিয়াযোগ দান করেছিলেন। ক্রিয়াযোগ সাধনের সিদ্ধ অবস্থায় সঠিকভাবে চাকরির কাজকর্ম করতে না পারায় তিনি তার চাকরি থেকে অবসর নেন এবং তিনি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার বাজে শিবপুরের বিপ্রদাস চ্যাটার্জী লেনে স্থায়ী বাসস্থান তৈরি করেন। এবং গাসাচ্ছাদন চালানোর জন্য ও মানুষের সেবার জন্য ওই স্থানেরই পপুলার ফার্মেসি নামক হোমিওপ্যাথিক দোকানে বসে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শুরু করেন।

এদৎ অঞ্চলে তাকে দু’আনির ডাক্তার বলে সকলে চিনতো। এইখানেই তিনি সাধনার চরম শিখরে আরোহণ করেন এবং মহা সিদ্ধ ক্রিয়াযোগী রূপে আত্মপ্রকাশ করেন। এই স্থানে বসেই তিনি বহু মুমুক্ষু মানুষকে ক্রিয়াযোগের মাধ্যমে আধ্যাত্বিক পথে চালনা করেন। পরবর্তীতে তার শিষ্যদের মধ্যে অনেকেই সিদ্ধাবস্থা প্রাপ্ত হন। এই স্থানে বসেই এই গৃহীযোগী ক্রিয়াযোগের উপদেশ দিতেন এবং সব সময় এখানে তাঁর শিষ্যমন্ডলীর ও ক্রিয়াযোগ পিপাসুদের আসা-যাওয়া লেগেই থাকতো।

কখনো কখনো তিনি তার শিষ্য মন্ডলীর বাড়িতেও যাতায়াত করতেন। পুরুলিয়া জেলার বলরামপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সন্তোষপুর, হাওড়া জেলার বকুলতলা ও আরও অন্যান্য কিছু স্থানে তিনি শিষ্যদের অনুরোধে যাতায়াত করতেন। পরবর্তীকালে তার শিষ্যরা বলরামপুর, বকুলতলা ইত্যাদি স্থানে সীমিত ভাবে ক্রিয়াযোগীদের সুবিধার্থে নিত্যানন্দ যোগাশ্রম নাম দিয়ে আশ্রম গড়ে তোলেন। এসব স্থানে তার জন্মদিন ৩রা আষাঢ়, গুরু পূর্ণিমা উৎসব ইত্যাদি আজও মহাসমারোহে পালন করা হয়।

১৯৭৯ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি তিনি মহাসমাধিতে প্রবেশ করেন। তার উল্লেখযোগ্য শিষ্যদের মধ্যে শ্রী অমল বিকাশ চৌধুরী,শ্রী সুখেন্দু বিকাশ ভট্টাচার্য্য, শ্রী সন্তোষ কুমার মিত্র, শ্রী মহেশ্বর মজুমদার,   শ্রী সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রী চন্ডীদাস বিশ্বাস, শ্রী শরদিন্দু ভট্টাচার্য, শ্রী বিমল বিকাশ ভট্টাচার্য, শ্রী রাজেন্দ্র লাল তালুকদার, শ্রীমতি মালতি তালুকদার, শ্রী নীরদানন্দ ব্রহ্মচারী, শ্রী জীবন চন্দ্র রায়, শ্রী গোপাল চন্দ্র রায়, শ্রীমতি আশালতা রায়,(শ্রীজীবন চন্দ্র রায়, শ্রী গোপাল চন্দ্র রায়, শ্রীমতি আশালতা রায়, শ্রীমৎ নীরদানন্দ ব্রহ্মচারী ও অন্যান্য আরো কয়েকজন ভক্তদের প্রচেষ্টায় হাওড়া জেলার বকুলতলায় নিত্যানন্দ যোগাশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়।) কালীঘাটের শ্রী হরিশচন্দ্র মন্ডল, শ্রী রঙ্গনাথ তিওয়ারি, শ্রী মহাবীর প্রসাদ শর্মা, শ্রী  মাহেশ্বরী প্রসাদ দুবে, বাঁকুড়ার শ্রী রমেশ বিশ্বাস, তৎকালীন ঝাড়গ্রামের শ্রী রামহরি বাবু, বাঁকুড়া জেলার ঝিলিমিলিতে বসবাসকারী খুব উচ্চ ক্রিয়ান্বিত শ্রী নিতাই বাবার গুরু ভ্রাতা এবং পরবর্তীকালে শিষ্য শ্রী প্রমথনাথ সিংহ মহাপাত্র বাবা, বলরামপুর থেকে শ্রী ত্রিভঙ্গ লাল সিং, শ্রী অজিত সিং, (ত্রিভঙ্গলাল সিং এবং অজিত সিং ও অন্যান্য কয়েকজন শিষ্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বলরামপুরে নিত্যানন্দ যোগাশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়।)শ্রী ভগবান দাস জয়সওয়াল,শ্রী নারায়ণ জয়সওয়াল ও আরও অন্যান্য শিষ্য শিষ্যা বৃন্দ। বান্দোয়ানের রামুদা সহ অন্যান্যরা, সিদ্ধযোগিনী শ্রীমতি মহালক্ষ্মী মা (যিনি শিবপুরে বসবাস করতেন ও গুরু বাবার প্রাত্যহিক সেবায় নিয়োজিত ছিলেন), সন্তোষপুরের শ্রীমতি পুষ্প মা যাকে গুরু বাবা স্নেহবশতঃ যশোদা মা বলে সম্বোধন  করতেন তৎসহ আরো বহু উচ্চ ক্রিয়ান্বিত। নিতাই বাবার শিষ্য বহু উচ্চ ক্রিয়ান্বিতদের নাম এখানে দেওয়া গেল না পরবর্তীতে আমরা তাদের নাম প্রকাশ করবো।
মহাসমাধিতে প্রবেশের সময় তিনি নিজ পুত্র কন্যা, স্ত্রী ও পৌত্র রেখে যান।

বিঃদ্রঃ – গুরুবর নিতাই চরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে আরও কাহারও কিছু জানা থাকিলে ইমেইল মারফত আমাদিগকে পাঠাইলে বা আমাদের সহিত যোগাযোগ করিলে আমরা তাহা এস্থলে সংযোজন করিতে পারি।

ক্রমশ

error: Content is protected !!