বিছানায় যাইয়া উত্তরাস্য হইয়া বসিয়া, প্রথমে তিনটি প্রাণায়াম করিবেন, পরে গুরুপদিষ্টমতে নারায়ণকে স্মরণ করিয়া, গুরু এবং নারায়নকে তুল্যজ্ঞানে প্রণামপূর্বক দক্ষিণ দিকে শিয়র করিয়া শয়ন করিবেন। প্রথমে চিৎ হইয়া গুরুপদেশ মতে দ্বাদশটি প্রাণায়াম করিয়া, প্রাণায়াম শেষ হইলে দক্ষিণ পার্শ্বে শয়ন করিবেন। ক্ষণকাল এইভাবে থাকিয়া যখন দেখিবেন, নিদ্রার আবেশ আসিয়াছে তখন বাম পার্শ্বে ফিরিয়া শয়ন করিয়া নিদ্রা যাইবেন। কিন্তু এই নিদ্রাও অধিক কাল ভালো নহে। বৃথা আমোদাদিতে রাত্রিজাগরনও নিষিদ্ধ। যাহাদের সাধনে প্রথমাবস্থা তাহাদের দুই প্রহর কাল নিদ্রা হইলেই যথেষ্ট।

যোগাচার্য্য পঞ্চানন ভট্টাচার্য মহাশয় লিখিত ধর্ম ও পূজাদি মীমাংসা নামক পুস্তকের তৃতীয় বইমেলা, ২০১৫ সংস্করণ হইতে গৃহীত।

যোগাচার্য্য পঞ্চানন ভট্টাচার্য্য মহাশয় তাঁহার ধর্ম ও পূজাদি মীমাংসা পুস্তকে ক্রিয়াযোগী তার দৈনন্দিন জীবনে কিভাবে নিদ্রা যাইবেন, তাহার পরিষ্কার নির্দেশ দিয়াছেন।
অর্থাৎ একজন ক্রিয়া যোগী ক্রিয়াযোগ অভ্যাস করা কালীন কিরূপ জীবনযাত্রা নির্বাহ করিবেন সেই সম্পর্কে একটি পরিচ্ছন্ন ছবি নির্দশাবলী রূপে আঁকিয়া দিয়াছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!