আজ কৌশিকী অমাবস্যার দিন। পুরাণে বলা হয়েছে এই দিনই কৌশিকী দেবী আবির্ভূত হয়েছিলেন শুম্ভ এবং নিশুম্ভের অত্যাচার থেকে জীবজগৎকে উদ্ধার করতে।
তন্ত্রে এই অমাবস্যাকে তারা অমাবস্যাও বলে এবং এই অমাবস্যার যোগকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই কৌশিকী অমাবস্যাতে মূলত মা তারার পুজো ধ্যান অর্চনা ইত্যাদি করা হয়। তন্ত্রে এই অমাবস্যাকে অত্যন্ত সিদ্ধিপ্রদ বলে মনে করা হয়। সাধকশ্রেষ্ঠ বামাক্ষ্যাপা এই কৌশিকী অমাবস্যাতেই সিদ্ধিলাভ করেছিলেন।

যোগশাস্ত্রে এই প্রাকৃতিক নৈসর্গিক অমাবস্যা কালের গুরুত্ব থেকেও আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় দৈহিক অমাবস্যার প্রতি। এই অমাবস্যা ক্ষনে দৈহিক অবস্থাকে নিয়ে এসে সাধনা করলে সিদ্ধি লাভ খুব সহজেই হয়। তবে দেখা যায় নৈসর্গিক অমাবস্যা কালে সাধারণভাবে সাধক এবং যোগীর দেহ প্রায়সই অমাবস্যার অবস্থাতেই থাকে। এবং দেহটি অমাবস্যা ক্ষনে স্হিতি করে সাধনায় সিদ্ধিলাভ অবশ্যম্ভাবী। সেই জন্যেই যোগী এবং সাধক সমাজে অমাবস্যা ক্ষনের এত গুরুত্ব।যদি কাউকে দেখা যায় যে সে যেকোন শাস্ত্রেই হো’ক না কেন সিদ্ধি লাভ করেছেন তবে বুঝতে হবে অবশ্যই সে অমাবস্যা ক্ষণে কাজটি শুরু করেছিল।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে এই দৈহিক অমাবস্যাটি কি? — এটি যোগশাস্ত্রের একটি অতি সাধারন ব্যাপার, যা গুরুবক্ত্রগম্য। এইটুকু ইঙ্গিত দিতে পারা যায় যে সুষুম্নায় বায়ু প্রবাহ সুরু হ’লে অর্থাৎ ইড়া পিঙ্গলায় বায়ু প্রবাহ সমান হলেই তা’কে যৌগিক অমাবস্যা বলে। এবং এই অবস্থায় আসার জন্য যোগীরা একটি ছোট্ট গুরুবক্ত্রগম্য ক্রিয়া অবলম্বন করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!