মনুসংহিতা বা মনুরহস্য যোগিরাজ শ্রীশ্রী শ্যামাচরণ লাহিড়ী দ্বারা ব্যাখ্যাত। যোগীরাজ পৌত্র শ্রী আনন্দ মোহন লাহিড়ী সঙ্কলিত এই মনুসংহিতা বা মনুরহস্য। মহান ক্রিয়াযোগী শ্রীশ্রী শ্যামাচরণ লাহিড়ী মহাশয় “ক্রিয়াযোগের” যে ধারা প্রবর্তন করে গেছেন, তা’ শুধুমাত্র ভারতবর্ষেই নয় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য অন্য ধৰ্ম্মাবলম্বী মানুষের দ্বারা চর্চিত ও অনুশীলিত। মনুসংহিতাতে ক্রিয়া সম্বন্ধীয় যতগুলি শ্লোক আছে তা এই মনুরহস্য গ্রন্থে উদ্ধৃত হয়েছে। এগুলি ক্রিয়াযোগের অতি গুপ্ত অমৃত ভাণ্ডার। এই বইয়ের প্রতিটি কথা ক্রিয়াযোগীদের জন্য অর্থবহ। এগুলি কথার কথা নয়, কাজের কথা, ক্রিয়ার কথা। এগুলির যত প্রচার হবে ক্রিয়াবানদের ততই উপকার হবে। এটি গোপনে মন স্থির রেখে বার বার পাঠ করলে পাঠকের মনে অর্থবোধ হবে এটি নিশ্চিত।
ক্রিয়াযোগের মাধ্যমে গুরুর সংস্পর্শে থেকে ক্রিয়াযোগ অভ্যাস করলে কত দ্রুত উন্নতি এবং ঈশ্বরানুভুতি হতে পারে তা দর্শাতে নাদ সিদ্ধ মহাজন শ্রীশ্রী সীতারাম দাস ওঙ্কারনাথ ঠাকুরের স্বহস্ত লিখিত একটি অসম্পূর্ণ পত্র হতে নিম্নলিখিত অংশটি আংশিক উদ্ধৃত করা হলো।
“তোমরা হয়তো জানোনা যে লাহিড়ী বাবার নাতি—মজুমদার মশাই এর কাছে ক্রিয়া নিয়ে ছিলাম । ক্রিয়া নিলাম নাভিক্রিয়া, অন্যান্য মুদ্রা, যেনিমুদ্রা, তালব্যমুদ্রা প্রভৃতি— ষটচক্র ছুঁয়ে ছুঁয়ে প্রাণায়াম করতে নামাতে পারি না। দয়াল মহারাজকে (যোগীরাজের শিষ্য রাম দয়াল মজুমদার) জানালাম তিনি বল্লেন, জপ করে কাজ সেরে রেখেছো—যাও তোমায় আর যোগ করতে হবে না। হটযোগীর ছুটি। পরে অখণ্ড নাদের লীলা চলতে থাকে।