আমি ,sekhar banerjee,1975 সালে 19th july ঘটনা চক্রে শিবপুর গুরূধামে উপস্থিত হই।ওইদিন আমার নিজ বড় দিদির ক্রিয়া পাওয়ার কথা।দিদি স্কুলে চাকরি করতেন।তো আমিও সেদিন তাকে সঙ্গ দিতে যাই।আমার পরম আরাধ্য গুরুদেবের কি চিন্তা ছিলো জানিনা,উনি সিদ্ধান্ত নিলেন আমাকেও ক্রিয়া দেবেন,যেটা এত সহজে সম্ভব ছিল না।অনেকেই অনেক সময় সাত দশ বছর ঘুরেছে ক্রিয়া পেতে। যাই হোক আমার ঐ দিন ক্রিয়া হলো।যদিও এ ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা ছিল না কি পেলাম।তার আগে আরএসএস এর এক ক্যাম্পে আলোচনা হয়েছিল এই যোগ পাধ্যতি এখন দুর্লভ।সেই হলো বীজ বপন।তখন জানলাম এই সেই দুর্লভ পথ যা আমি শুনেছিলাম এবং মনে মনে মনন করছিলাম। কেনো জানিনা আমি বোধ হয় একমাত্র ব্যক্তি যে এই পথের সন্ধান পাই।কিছুই বুঝি নি।শুধু শুনলাম দরজা জানলা বন্ধ করে ,ঘর বন্ধ করে সুখাসানে দুবেলা সমস্ত পোধ্যতি পালন করতে হবে যা সেদিন তামা তুলসী ও গঙ্গাজল স্পর্শ করে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম।শুরু হলো ক্রিয়া করা কিছু না বুঝেই।তখন বয়স 21 বৎসর।আস্তে আস্তে যাতায়াত শুরু হলো।কলেজে পড়ি।আমি আমার জীবনের সমস্ত কথাই share করেছি।আস্তে আস্তে ভালোবাসা শুরু হলো। কিভাবে যেনো ভালোবাসার বন্ধনে বাঁধা পড়লাম।অনেক গল্পো হতো সমস্ত ব্যাপারে,এমন কি সিনেমার ব্যাপারেও। বৈজু বাওরা সিনেমা দেখে গল্পো বললাম।বললেন যদু ভট্ট সিনেমা আট বার দেখেছেন।কি অদ্ভুত কদিন বাদে উত্তর কলকাতা এক সিনেমা হলে এক সপ্তাহের জন্য এসেছে।আমি আর দিদি দুজনে গেলাম দেখতে,আর একবার কলেজ পালিয়ে।এই ভাবে চললো।কখনো সন্তোষপুর যেতেন,আমি আর আমার দিদি প্রায় যেতাম আর সীমাহীন ভালোবাসায় বাঁধা পড়লাম। এক সময় সকাল বিকেল শিবপুর গুরুধাম যেতাম।চুপচাপ বসে থাকতাম।উনি অনেক কথা বলতেন। পরে আপসোস হয় কিছু লিখে রাখিনি।প্রচুর বিড়ি খেতেন,জিজ্ঞেস করলে বলতেন নাহলে নিচে থাকতে পারিনা।প্রায়ই সমাধিতে মাগনা হয়ে যেতেন যা খুবই স্বাভাবিক ছিল ওনার কাছে।প্রচন্ড বন্ধুত্ব ছিল সব কথা বলতাম,ক্রিয়ার কথা চলত। বললেন প্রথম ক্রিয়া তিন মাসের কোর্স,আমিও তাই বিশ্বাস করলাম।তখন ক্রিয়া ধ্যান জ্ঞান ছিল। একদিন বললেন আসতে,আমি costing পড়ছি।দুপুর একটায় পৌছালাম।আমাকে পরের ধাপটা দেখিয়ে দিলেন।তখন এক অন্য এক্সাইটমেন্ট ছিল। অনেক কথা হয়েছে,কিছু বৈরাগ্য এসেছে।মাঝে মাঝে ওনার নির্দেশে সসানে যাওয়া আসা চলত।তারপর ওনার আঙ্গুলি হেলনে কিভাবে প্রাইভেট চাকরি পেলাম।পরে উনি অসুস্থ হলেন,প্রোস্টেট অপারেশন হলো।কিভাবে চারটি বছর কাটলো। হটাৎ উনি চলে গেলে।আজ এই পর্যন্ত,পরে আবার স্মৃতি রোমন্থন করা যাবে।
লেখক : শেখর ব্যানার্জি