উচ্চ ক্রিয়াবানের প্রাণায়ামের জোর কমিয়া যায়। ৫২ নং পত্র।
শ্রী গুরুর পত্রে ঃ-
উচ্চ ক্রিয়া পাইলে অনেকেই মনে করেন তাঁহার আর প্রাণায়াম বেশী করার দরকার নাই। এই কারণে উচ্চ ক্রিয়াবানের মধ্যে অধিকাংশই গোলমাল। আপনি 600 প্রাণায়াম ও পঞ্চাশ ষাট্ টী মহামুদ্রা, নাভিক্রিয়া এবং চতুর্থ ও পঞ্চম করিবেন। ৫৩ নং পত্র।
শ্রী শ্রী যোগীরাজ পৌত্র শ্রী আনন্দমোহন লাহিড়ী প্রণীত “পত্রাবলীতে ক্রিয়া ও ক্রিয়াবান” পুস্তক হইতে শিষ্যের পত্রের উত্তরে যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী মহাশয়ের ৫২ ও ৫৩ নং পত্রের কোনরূপ পরিবর্তন না করিয়া হুবহু উদ্ধৃত হইল।
শিষ্যদিগের পত্রের উত্তরে যোগীরাজ বারবার প্রথম ক্রিয়ার প্রাণায়াম অবশ্যই করিতে নির্দেশ দিতেছেন। ৫২ নং পত্র হইতে বুঝা যাইতেছে যে উচ্চ ক্রিয়ান্বিতদের উচ্চ ক্রিয়া সমূহ করিতে যাইয়া অনভ্যাসে প্রাণায়ামের জোর কমিয়া যায়। প্রাণায়ামের জোর কমিয়া যাওয়ার কারণে ৫৩ নং পত্রে তিনি এই অবস্থাকে গোলমাল বলিয়া আখ্যা দিয়েছেন। যোগীরাজ তাঁহার অনেক শিষ্যদের মধ্যে এই অবস্থা দেখিতে পাইয়াছেন। তাই যোগীরাজ তাহার শিষ্যদের ক্রিয়ার উন্নতিকল্পে ৫৩ নং পত্রে আদেশ দিয়েছেন কম করিয়া ৬০০ প্রাণায়াম পঞ্চাশ ষাট্ টি মহামুদ্রা, নাভি ক্রিয়া করিয়া তৎসহ উচ্চ ক্রিয়া সমূহ করিতে হইবে।
বিভিন্ন স্হানে যোগীরাজের মন্তব্য যে প্রথম ক্রিয়াতেই সবকিছু হইতে পারে, তাহা তাঁহার এই নির্দেশ হইতেই সত্য বলিয়া প্রমাণিত হইতেছে। কারণ তিনি বারবার বলিয়াছেন ক্রিয়াযোগে প্রাণায়ামই মুখ্য ক্রিয়া।