সমুদায় গীতার ভাব এবং প্রাণায়াম
সাংখ্য যোগ, অর্থাৎ প্রাণায়াম করে স্হির হয়ে বসে থেকে ভাবনা নিরাকারে করে যে স্থিতি তাহাই ক্রিয়া। প্রাণায়াম ক্রমশ বৃদ্ধি হইলে ক্রিয়ার পরে চিত্তে কোন প্রকার ভাবনার আকার থাকে না, অর্থাৎ…
সাংখ্য যোগ, অর্থাৎ প্রাণায়াম করে স্হির হয়ে বসে থেকে ভাবনা নিরাকারে করে যে স্থিতি তাহাই ক্রিয়া। প্রাণায়াম ক্রমশ বৃদ্ধি হইলে ক্রিয়ার পরে চিত্তে কোন প্রকার ভাবনার আকার থাকে না, অর্থাৎ…
যোগীরাজ বলিতেন — “গুড়ের ময়লা টানতে টানতে সাদা হয়, তেমনি প্রাণায়াম করতে করতে নির্ম্মল হয়।”তিনি ভক্তদের শিক্ষা দিতে গিয়া আরও বলিতেন — “উল্টো লিখে আয়না দিয়ে দেখলে সোজা দেখায় তদ্রুপ…
যোগীরাজ তার ডাইরিতে লিখেছেন “তনমন বচন কর্ম্ম লাগাওএ — ইসিকো অহিংসা কহতে হয়”। — দেহ, মন, বচন ও কর্ম এই চারিটিকে একত্র করিলে অর্থাৎ স্থির করিলে যে অবস্থার উদয় হয়…
আরতি আ = না, রতি = কামনা যে কার্য করিলে আ-রতি হয়, অর্থাৎ নিষ্কাম অবস্থা হৃদয়ঙ্গম হয় অর্থাৎ মনোরতি নষ্ট হয়, তাহাই প্রকৃত আরতি জানিবেন। পুরোহিত মহাশয়গণ না জানার জন্য…
চঞ্চল বায়ু হইতেই মন ও কামনার উৎপত্তি, অন্তর্মুখীন প্রাণায়ামের সাহায্যে কামনার হস্ত হইতে নিষ্কৃতি পাইয়া মুলাধারস্হ স্হির প্রাণকে ঊর্ধ্বে আজ্ঞাচক্রে – ব্রম্মযোনীতে সম্মিলিত করিয়া ভগবান পদবাচ্য হইতে পারা যায়। এই…
শ্রী গুরুর পত্রে :- অনেকের দুই ঘণ্টা প্রাণায়ামে বিধিপূর্বক দুইটি প্রাণায়াম হয় না। “মন্ত্রহীনম্ অদক্ষিণম্ তৎ তামসং উদাহৃতং”। দক্ষিণা = ক্রিয়ার পর স্থির অবস্থায় লক্ষ্য রাখিয়া স্থির অবস্থায় স্থিতি। অনেকের…
দৃষ্টাদৃষ্ট প্রয়োজনানাং দৃষ্টাভাবে প্রয়োজনমভ্যুদয়ায়।। ক্রিয়া করিয়া দেখা ও ক্রিয়ার পর অবস্থায় না দেখা এই উভয়েরই প্রয়োজন (দেখার প্রয়োজন বিভূতি, না দেখার প্রয়োজন মুক্তি)। যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী কৃত বৈশেষিক দর্শনম্ ষষ্ঠোহধ্যায়স্য…
ক্রিয়াযোগ কেন গুরুমুখী সে বিষয়ে কিছু আলোচনা করতে চাই। বর্তমানে সারা পৃথিবী জুড়ে বহু মানুষই ক্রিয়া যোগের অভ্যাস করেন। তাদের মধ্যে কেউ সরাসরি গুরুর কাছ থেকে ক্রিয়া পেয়েছেন, কেউ সংস্থার…
মূলাধার পর্যন্ত রেচক করিলেই অবশ্যই পূরক আপনা আপনি হইবে অর্থাৎ আপনা আপনি বায়ুর আকর্ষণ হইবে এইরূপ প্রচ্ছর্দ্দন বিধারণেতে আপনা আপনি কুম্ভক হইবে, এই তিনের নাম প্রাণায়াম। ~~যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী প্রণীত…
উৎপলনাল অর্থাৎ যে নল গোড়া হইতে উঠে অর্থাৎ মূলাধার হইতে উঠে, অর্থাৎ নাল ফুলের মতন নলেতে যেমন জল টানে সেইরূপ (গুরু বাক্যে) জানিয়া বায়ুকে আকর্ষণপূর্বক রেচক অবশ হইয়া করিতে হইবে,…