ন লঙ্ঘযেদ্বৎসতন্ত্রীং ন প্রধাবেচ্চ বর্ষতি।
নচোদকে নিরীক্ষেত স্বং রূপমিতি ধারণা।
সর্বদা ক্রিয়া করিবে। যখন ক্রিয়া করিতে করিতে ব্রহ্মরন্ধ্র হইতে সুধামৃত বর্ষণ হইবে তখন মনকে চঞ্চল করিবে না। তখন ব্রহ্মেতে থাকিয়া আপনার রূপ দেখিবে না অর্থাৎ কোন ইচ্ছা থাকিবে না এই ধারণার অবস্থা।
যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী মনুসংহিতার চতুর্থ অধ্যায়ের ৩৮ নং শ্লোক উপরোক্তরূপে ব্যাখ্যা করিয়াছেন। ক্রিয়াযোগে ক্রিয়া করিতে করিতে আপনা আপনি ধারণার অবস্থা আসিয়া যায় এবং সেই সময় ক্রিয়ান্বিত সাধকের কি কি করনীয়, যোগীরাজ এই শ্লোকের ব্যাখ্যায় তাহার সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়াছেন। যদিও তাহার এই ব্যাখ্যা ক্রিয়ান্বিত ভিন্ন অন্য কেহ বুঝিতে পারিবেন না কিন্তু প্রকৃত ক্রিয়ান্বিতদের জন্য এই ব্যাখ্যা অতি মূল্যবান গুহ্য সাধন প্রণালী, যাহা মহাকরুণা বশতঃ যোগীরাজ ক্রিয়ান্বিতদের জন্য লিখিয়া প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন।