যোগীরাজ বলিতেন — “গুড়ের ময়লা টানতে টানতে সাদা হয়, তেমনি প্রাণায়াম করতে করতে নির্ম্মল হয়।”তিনি ভক্তদের শিক্ষা দিতে গিয়া আরও বলিতেন — “উল্টো লিখে আয়না দিয়ে দেখলে সোজা দেখায় তদ্রুপ গৃহস্থ বায়ুকে উল্টাইলেও স্বরূপ দেখায়।” শুদ্ধা ভক্তিই প্রকৃত ভক্তি। এই শুদ্ধা ভক্তি অজ্ঞান না কাটিলে পাওয়া যাইতে পারে না।

তাই তিনি বলিতেন — “ওষ্ঠ কন্ঠ দন্ত প্রকৃতিতে বায়ুর জোর পড়িলে জ্ঞানের স্বানুভব হওয়ার নাম ভক্তি।” কিন্তু অজ্ঞান কাটিবে কি করিয়া? যোগীরাজ বলিতেন — “উত্তম প্রাণকর্ম্ম করিতে থাকিলে আপনা হইতেই অজ্ঞান দূরীভূত হইবে।” ইহাই স্বধর্ম্ম।

যোগীরাজ পৌত্র সত্যচরণ লাহিড়ী
দ্বারা সঙ্কলিত ও শ্রী অশোক কুমার চট্টোপাধ্যায় দ্বারা গ্রন্থিত পুরাণ পুরুষ যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী নামক পুস্তকের দ্বিতীয় সংস্করণ হইতে গৃহীত।

ক্রিয়াযোগে প্রাণায়ামই একম্ অদ্বিতীয়ম্ অস্ত্র। তাই যথাযথ প্রাণায়াম করিতে পারিলেই তাহার প্রভাবে যোগীর মধ্যে সমস্ত ঐশ্বরীয় গুণাবলীর সমাবেশ ঘটে, যা অন্য কোন ভাবেই হয় না। সাধারণ গৃহস্থদের পক্ষে প্রকৃত ঐশ্বরীয় গুণাবলী প্রাপ্ত করিতে হইলে অবশ্যই ক্রিয়াযোগের শরণাপন্ন হইতে হইবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!